Identity (2025) মুভি রিভিউ

মালয়ালম সিনেমার নতুন থ্রিলার “আইডেন্টিটি ২০২৫” এক কথায় বললে—গল্পে কিছু দুর্বলতা থাকলেও টেকনিক্যালি স্ট্রং একটা চলচ্চিত্র। একটা হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীকে ঘিরে আবর্তিত হয় পুরো প্লট, যেখানে অপরাধের পেছনের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় জড়িয়ে যায় পুলিশ, আসামি, আর গোয়েন্দারা। প্রথমার্ধে গল্প জটিলভাবে এগোয়, অনেক চরিত্র আর অসম্পূর্ণ ক্লু। দ্বিতীয়ার্ধে এসে যখন পাজলের টুকরোগুলো জোড়া লাগে, তখন বেশ ভালো লাগলেও কিছু সিকোয়েন্সে গতি হারায় সিনেমা, বিশেষ করে ক্লাইম্যাক্সের আগে টেনশন কমে যেতে থাকে। অনেকটাই প্রেডিক্ট করা যায়। গল্পের বেসিক কাঠামো একটু পুরনো টাইপের, কিন্তু স্ক্রিনপ্লেতে ডিটেলিং লেগেছে চোখে পড়ার মতো।

অভিনয়ে টোভিনো থমাসের পারফরম্যান্স বেশ সাবলীল এবং সচরাচর তিনি যেভাবে অভিনয় করেন—ওসিডি আক্রান্ত সাবেক কমান্ডোর চরিত্রে তাঁর শারীরিক ভাষা এবং মার্শাল আর্টের দৃশ্য দেখে অভিভূত হতে হয়। ত্রিশাকে হয়তো শুধু প্রজেক্টের স্কেল বাড়ানোর জন্যই নেওয়া হয়েছে, স্ক্রিনটাইম কম হলেও চরিত্রের লেয়ারিংয়ে তিনি নিজের ট্যালেন্ট দেখিয়েছেন। চরিত্র আলিশাকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও পরে কিছুটা সাপোর্টিং রোলেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে তাঁর স্ক্রিন উপস্থিতি এবং চরিত্রের লেয়ারিং প্রশংসা পেয়েছে। নেগেটিভ রোলে ভিনয় রাই সেরা—চরিত্রের ভেতরের দ্বন্দ্ব আর ঠান্ডা মেজাজের এক্সপ্রেশন দর্শককে ধরে রাখে। মন্দিরা বেদীর স্টাইলিশ এন্ট্রি, শাম্মি তিলকনের ডায়লগ ডেলিভারি পুরো কাস্টকে শক্তিশালী করেছে।

সিনেমাটির সবচেয়ে বড় পাওয়া জ্যাকস বেজয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর। বিশেষ করে বিমানের ভেতর ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্যে সঙ্গীতের ব্যবহার রোমাঞ্চ বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। এডিটিং গল্পের গতিশীলতা ঠিক রেখেছে, যদিও মাঝেমাঝে কিছু দৃশ্য কাটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে।

মোটের ওপর, “আইডেন্টিটি ২০২৫” দেখার মতো থ্রিলার, যেখানে গল্পের সীমাবদ্ধতাকে ঢেকেছে টেকনিক্যাল এক্সেলেন্স আর পারফরম্যান্স। যদিও বক্স অফিসে সাকসেসফুল হতে পারে নি তবুও টোভিনো-ট্রিশা-ভিনয়ের কম্বিনেশন আর জ্যাকসের BGM মিলে বানিয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট প্যাকেজ। তবে যারা প্লট টুইস্ট আর জটিলতায় ভরপুর থ্রিলার পছন্দ করেন, তাদের একটু হতাশ হতে পারে!

Spread the love

Leave a Comment