APK vs AAB: পার্থক্য কোথায়?

এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে APK এবং AAB এই দুইটি টার্ম প্রায়ই শোনা যায়। নতুন ডেভেলপাররা অনেক সময় এদের পার্থক্য বুঝতে দ্বিধায় পড়েন। আজকের ব্লগে সহজ বাংলায় জানাবো, APK আর AAB কী, এদের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো কী, এবং ফ্লাটার বা নেটিভ প্ল্যাটফর্মে এদের ব্যবহার কেমন হয়।


APK কী? (Android Package Kit)

APK হলো এন্ড্রয়েড অ্যাপের প্যাকেজ ফাইল। আপনি যখন অ্যাপ ডেভেলপ করেন, কোড কম্পাইল করে APK ফাইল তৈরি হয়। এই ফাইলটি ইউজারের ফোনে ইন্সটল করে অ্যাপ চালানো যায়।

বৈশিষ্ট্য:

  • এতে অ্যাপের সমস্ত কোড, রিসোর্স (ইমেজ, আইকন), এবং সার্টিফিকেট থাকে।
  • APK সরাসরি শেয়ার করা যায় (যেমন: ইমেইল বা ফাইল ট্রান্সফার করে)।
  • গুগল প্লে স্টোর ছাড়াও অন্য প্ল্যাটফর্মে (যেমন: Amazon Appstore) APK আপলোড করা যায়।

AAB কী? (Android App Bundle)

AAB হলো গুগলের নতুন ফর্ম্যাট, যা APK-এর চেয়ে স্মার্ট এবং অপটিমাইজড। ২০১৮ সালে গুগল এটিকে চালু করে। AAB ফাইল থেকে গুগল প্লে স্টোর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউজারের ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত APK জেনারেট করে।

বৈশিষ্ট্য:

  • অ্যাপের সাইজ কমায় (যেমন: আপনার ফোনে শুধু প্রয়োজনীয় কোড ও রিসোর্স ডাউনলোড হয়)।
  • ডায়নামিক ফিচার সাপোর্ট করে (অ্যাপ ইন্সটলের পর অতিরিক্ত ফিচার যোগ করা যায়)।
  • গুগল প্লে স্টোরের জন্য এখন AAB বাধ্যতামূলক (নতুন অ্যাপ আপলোড করতে হলে)।

APK vs AAB: পার্থক্যগুলো কোথায়?

বিষয়APKAAB
সাইজবড় (সব ডিভাইসের জন্য একই ফাইল)ছোট (ডিভাইস অনুযায়ী অপটিমাইজড)
ডেলিভারি সিস্টেম স্ট্যাটিক (পুরো ফাইল শেয়ার হয়)ডায়নামিক (গুগল প্রয়োজনমতো APK বানায়)
গুগল প্লে স্টোরএখন আর নতুন অ্যাপে APK গ্রহণ করে নাAAB বাধ্যতামূলক
সিকিউরিটিডেভেলপার নিজে সাইন করেগুগল প্লে স্টোর অ্যাপ সাইন করে
বিল্ড প্রসেসসরাসরি APK জেনারেট হয়AAB জেনারেট করে গুগলে আপলোড করতে হয়

কখন কোনটি ব্যবহার করবেন?

  • APK ব্যবহার করুন:
    • টেস্টিংয়ের জন্য (ডিভাইসে সরাসরি ইন্সটল করে দেখতে)।
    • থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোরে আপলোড করতে (যেমন: Huawei AppGallery)।
    • অ্যাপের বেটা ভার্সন শেয়ার করতে।
  • AAB ব্যবহার করুন:
    • গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ পাবলিশ করতে (বাধ্যতামূলক)।
    • অ্যাপের সাইজ কমাতে এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বাড়াতে।
    • ডায়নামিক ফিচার বা স্প্লিট APK-এর সুবিধা নিতে।

ফ্লাটার বা নেটিভে APK/AAB বানানোর পদ্ধতি

ফ্লাটার (Flutter):
১. APK বানাতে: টার্মিনালে কম্যান্ড লিখুন →

flutter build apk --release  

APK ফাইল পাবেন build/app/outputs/apk/release ফোল্ডারে।

২. AAB বানাতে:

flutter build appbundle  

AAB ফাইল পাবেন build/app/outputs/bundle/release ফোল্ডারে।

নেটিভ এন্ড্রয়েড (Android Studio):

  • Build > Generate Signed Bundle/APK এ ক্লিক করুন।
  • APK বা AAB সিলেক্ট করে বিল্ড করুন।

সাধারণ প্রশ্নোত্তর

১. AAB ফাইল সরাসরি ইন্সটল করা যায়?

  • না, AAB শুধু গুগল প্লে স্টোরের জন্য। ইউজাররা APK ইন্সটল করে, কিন্তু সেটা AAB থেকে জেনারেটেড।

২. APK কে AAB-তে কনভার্ট করা যায়?

  • হ্যাঁ, নতুন করে AAB বিল্ড করলেই হবে। পুরানো APK কনভার্টের কোনো টুল নেই।

৩. কোনটি ভালো?

  • গুগল প্লে স্টোরের জন্য AAB ভালো। তবে টেস্টিং বা ডিরেক্ট শেয়ারিংয়ে APK ব্যবহার করুন।

মূল কথাঃ

APK এবং AAB দুইটিই অ্যাপ ডিস্ট্রিবিউশনের টুল, তবে এদের কাজের ধরণ আলাদা। গুগল প্লে স্টোরের আপডেটেড নিয়ম মানতে AAB ব্যবহার করুন, আর অন্য ক্ষেত্রে APK-ই যথেষ্ট। ফ্লাটার বা নেটিভ দুই প্ল্যাটফর্মেই AAB বানানোর সিস্টেম সহজ। তবে যেকোনো ডিসিশনের আগে অ্যাপ টেস্ট করে নিন!

টিপস: AAB ব্যবহার করলে অ্যাপ সাইজ ২০-৩০% পর্যন্ত কমে যায়। ইউজার রিটেনশন বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ!


ব্লগটি সহজ মনে হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না! কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান। 😊

Spread the love

2 thoughts on “APK vs AAB: পার্থক্য কোথায়?”

Leave a Comment