প্রযুক্তির দ্রুত গতির এই যুগে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এখন আর শুধু গবেষণাগারের ভেতর সীমাবদ্ধ নয় — এটি এখন কোডিং জগতে এক বিশাল বিপ্লব এনে দিয়েছে। GitHub Copilot, ChatGPT, Cursor, DeepSeek-এর মতো AI টুলগুলো এখন অনেক ডেভেলপারদের প্রতিদিনের অংশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, AI দিয়ে কোডিং কি সবসময় ভালো? চলুন জেনে নিই এর কিছু ভালো এবং খারাপ দিক।
✅ ভালো দিক (Pros):
১. সময় বাঁচায় ⏳
AI অনেক সময়-consuming কাজ যেমন বয়লারপ্লেট কোড, রেপিটেটিভ ফাংশন লিখে দেয় অতি দ্রুত। এতে করে ডেভেলপার তাদের সময় বাঁচিয়ে মূল সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিতে পারে।
২. নতুনদের জন্য সহায়ক 👨💻
যারা নতুন কোডিং শিখছে, তাদের জন্য AI একজন ভার্চুয়াল মেন্টরের মতো কাজ করে। কীভাবে লিখতে হয়, কোন লাইব্রেরি ব্যবহার করতে হয় — সবকিছুই সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে।
৩. কোড রিভিউ ও বাগ ধরার সুবিধা 🐞
AI অনেকসময় অটোমেটিকভাবে কোডের ভুল ধরতে পারে, সেফার অপশন সাজেস্ট করে এবং আরও ভালো পারফরম্যান্সের কোড দেয়।
৪. ডকুমেন্টেশন তৈরি করে 📚
অনেক সময় AI দিয়ে API ডকুমেন্টেশন, ফাংশন এর ব্যাখ্যা ইত্যাদি অটো জেনারেট করা যায়, যা প্রজেক্ট মেইনটেইন করতে সাহায্য করে।
৫. বহু ভাষায় কোডিং 🎯
Python, JavaScript, Dart, Java, Kotlin — প্রায় সব জনপ্রিয় ভাষায় এখন AI সহায়তা দিতে পারে, একাধিক ভাষা জানার ঝামেলা কমে যায়।
❌ খারাপ দিক (Cons):
১. কোডের উপর নির্ভরশীলতা 📉
অনেকেই AI-এর কোড সরাসরি কপি-পেস্ট করে, না বুঝেই। এতে করে ডেভেলপারের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
২. নিরাপত্তা ঝুঁকি 🛑
AI অনেক সময় এমন কোড সাজেস্ট করে যেটাতে সিকিউরিটি লুপহোল থাকতে পারে। যেমন ইনপুট ভ্যালিডেশন ছাড়া ইউজার ডেটা নেওয়া ইত্যাদি।
৩. ভুল তথ্য বা কোড 💢
AI সবসময় সঠিক নয়। অনেক সময় সে ভুল লজিক বা deprecated লাইব্রেরি দিয়ে কোড সাজেস্ট করে। যাচাই না করলে বড় বিপদ হতে পারে।
৪. ইউনিক আইডিয়া বা লজিক কম 🧠
AI সাধারণত পুরনো ডেটার উপর ভিত্তি করে কোড দেয়। তাই একদম ইউনিক বা ইনোভেটিভ কিছু চাইলে, পুরোপুরি AI-তে ভরসা করা ঠিক না।
৫. কনফিডেন্স হারানো 😓
নতুন ডেভেলপাররা অনেক সময় নিজের কোডের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে, কারণ AI সবসময় “ভালো” অপশন দেখায়। এতে করে শেখার প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে।